দিনের দ্বিতীয়ার্ধে যখন MACD সূচকটি ইতোমধ্যে শূন্যের অনেক ওপরে ছিল তখন এই পেয়ারের মূল্য 1.3342 এর লেভেল টেস্ট করে, যার ফলে এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনা সীমিত হয়ে যায়। অল্প সময় পর এই লেভেল আবার টেস্ট করা হয়, তখন MACD সূচকটি ওভারবট জোন থেকে নিচে নামতে শুরু করে, যার ফলে সেল সিগন্যালের পরিকল্পনা #2 কার্যকর করার সুযোগ যায় এবং পাউন্ডের ৬০ পয়েন্টেরও বেশি দরপতন ঘটে।
এক দিন আগে ব্যাংক অব ইংল্যান্ড সুদের হার কমানোর সিদ্ধান্ত নিলেও তা ব্রিটিশ পাউন্ডকে তেমন সহায়তা দিতে পারেনি, কারণ দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক ভবিষ্যতে মুদ্রানীতির আরও নমনীয়করণের সম্ভাবনা নিয়ে সতর্ক অবস্থান গ্রহণ করেছে। তবে, দিনটির দ্বিতীয়ার্ধে যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষরের পর GBP/USD পেয়ারের ওপর চাপ আরও বাড়ে। ট্রাম্পের পক্ষ থেকে চীন ও ইউরোপের সঙ্গে অনুরূপ চুক্তির ইঙ্গিত মার্কিন ডলারকে আরও শক্তিশালী করে তোলে, যার ফলে পাউন্ডের আরও দরপতন ঘটে—যেটি আগে থেকেই ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের সিদ্ধান্তের পর উচ্চ মূল্য ধরে রাখতে হিমশিম খাচ্ছিল।
আজ ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের গভর্নর অ্যান্ড্রু বেইলি এবং MPC সদস্য হিউ পিলের বক্তব্য অনুষ্ঠিত হবে। তাদের বক্তব্যে গৃহীত অবস্থান পাউন্ডকে স্বল্পমেয়াদে কিছুটা সহায়তা দিতে পারে, তবে এই সহায়তা দীর্ঘস্থায়ী হওয়ার সম্ভাবনা কম। বক্তৃতার ধরণ সম্ভবত সতর্ক ও ভারসাম্যপূর্ণ হবে, যা যুক্তরাজ্যের জটিল অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট প্রতিফলিত করবে। ভবিষ্যতে আর্থিক নীতিমালার আরও নমনীয়করণের ব্যাপারে ট্রেডারদের প্রত্যাশা পুরোপুরি খণ্ডন হবে না, তবে আবার সুদের হার আরও কমানোর ব্যাপারে কোনো জোরালো প্রতিশ্রুতিও আসবে না বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এই পরিস্থিতিতে, যদি বেইলি ও পিল অর্থনীতির কিছু ইতিবাচক দিক—যেমন মুদ্রাস্ফীতি হ্রাস বা শ্রমবাজারের স্থিতিশীলতার কথা উল্লেখ করেন, তাহলে পাউন্ড স্বল্পমেয়াদে কিছুটা শক্তিশালী হতে পারে। তবে, দীর্ঘমেয়াদে যেসব মৌলিক সমস্যা—যেমন উৎপাদনশীলতার ঘাটতি ও ঋণের উচ্চ মাত্রা—পাউন্ডকে চাপে রাখছে, সেগুলোর কারণে স্থায়ী ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার সম্ভাবনা এখনো বেশ কম।
দৈনিক কৌশলের ক্ষেত্রে আমি মূলত পরিকল্পনা #1 এবং #2 বাস্তবায়নের ওপর নির্ভর করব।
পরিকল্পনা #1: আজ পাউন্ডের মূল্য 1.3307-এর (চার্টে গাঢ় সবুজ লাইন) লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 1.3255-এর (চার্টে সবুজ লাইন) এন্ট্রি পয়েন্টে পৌঁছাবে তখন আমি পাউন্ড কেনার পরিকল্পনা করছি। মূল্য প্রায় 1.3307-এর লেভেলের আশেপাশে পৌঁছালে, আমি বাই পজিশন ক্লোজ করতে যাচ্ছি এবং বিপরীত দিকে সেল পজিশন ওপেন করতে যাচ্ছি, উল্লিখিত লেভেল থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপস মুভমেন্টের প্রত্যাশা করছি। ব্যাংক অব ইংল্যান্ড সতর্ক অবস্থান গ্রহণ করায় স্বল্পমেয়াদে পাউন্ডের দর বৃদ্ধি পেতে পারে। A cautious stance from the BoE officials may justify a short-term rise in the pound.
গুরুত্বপূর্ণ! এই পেয়ার কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং শূন্যের উপরে উঠতে শুরু করেছে।
পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.3216-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রেও আমি আজ ইউরো কিনতে যাচ্ছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নগামী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী করবে। 1.3255 এবং 1.3307-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করা যেতে পারে।
পরিকল্পনা #1: আজ পাউন্ডের মূল্য 1.3216-এর (চার্টে লাল লাইন) লেভেল ব্রেক করে নিচের দিকে যাওয়ার পর আমি পাউন্ড বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি, যা GBP/USD-এর দ্রুত দরপতনের দিকে নিয়ে যাবে। বিক্রেতাদের জন্য মূল লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.3154-এর লেভেল, যেখানে মূল্য পৌঁছালে আমি শর্ট পজিশন ক্লোজ করতে যাচ্ছি এবং অবিলম্বে বিপরীত দিকে লং পজিশন ওপেন করার পরিকল্পনা করছি, এই লেভেল থেকে বিপরীত দিকে 20-25 পিপস মুভমেন্ট হওয়ার আশা করছি। দৈনিক সর্বোচ্চ লেভেল ব্রেক করে মূল্যের উপরের দিকে যাওয়ার ব্যর্থ প্রচেষ্টার ক্ষেত্রে এই পেয়ার বিক্রির সিদ্ধান্ত নেয়া যেতে পারে।
গুরুত্বপূর্ণ! বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের নিচে রয়েছে এবং শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে।
পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.3255-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি আজ পাউন্ড বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী দিকে নিয়ে যাবে। 1.3216 এবং 1.3154-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করা যেতে পারে।