Společnost Applied Materials koupila 9% podíl ve společnosti BE Semiconductor industries (BESI), uvedl v pondělí americký dodavatel vybavení pro počítačové čipy.
Nizozemská firma zabývající se pokročilým balením polovodičů vyrábí nejpřesnější nástroj pro hybridní lepení na světě, což je kritická technologie umožňující lepení dvou čipů přímo na sebe.
„Myslím, že se jedná o prozíravý krok ze strany (Applied Materials), který má podpořit užší spolupráci mezi oběma společnostmi,“ uvedl Timm Schulze-Melander, analytik společnosti Redburn Atlantic, v e-mailu.
Dodal, že nákup jasně ukazuje, že společnost Applied nevyvíjí alternativu k technologii hybridního lepení společnosti BESI.
Na rozdíl od většiny kroků při balení polovodičů probíhá hybridní lepení mnohem blíže k výrobní lince čipu a blíže k nástrojům společnosti Applied Materials.
„Myslím, že akcionáři budou nesmírně nadšeni a budou předpokládat, že Applied bude chtít nakonec koupit celou společnost,“ uvedl Michael Roeg ze společnosti Degroof Petercam v komentáři zaslaném e-mailem.
Společnost Applied Materials uvedla, že nemá v úmyslu usilovat o zastoupení v představenstvu společnosti BESI.
Hybridní lepení se používá u nejmodernějších čipů na světě, jako je řada X3D společnosti AMD, kde je paměťový čip lepen na procesor společností TSMC.
গতকাল, ফেডারেল রিজার্ভ সুদের হার না কমানোর সিদ্ধান্ত নেয়ার পর, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আবারও চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েলের প্রতি সমালোচনামূলক মন্তব্য করেন। বৃহস্পতিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ট্রাম্প লিখেন, পাওয়েল ফেডের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালনের জন্য অযোগ্য, কারণ তিনি অতিরিক্ত আগ্রাসী, সিদ্ধান্তহীন এবং রাজনৈতিকভাবে প্রভাবিত। তিনি সুদের হার সংক্রান্ত বর্তমান নীতিমালাকে কেন্দ্র করেও ফেডের সমালোচনা করেন।
এটাই প্রথমবার নয় যে প্রেসিডেন্ট ফেডারেল রিজার্ভ প্রধানের ওপর তীব্র আক্রমণ করলেন। ট্রাম্প বারবার ফেডের গৃহীত নীতিমালার ব্যাপারে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন এবং অভিযোগ করেছেন যে পাওয়েল ইচ্ছাকৃতভাবে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে বাধাগ্রস্ত করছেন। ট্রাম্পের মতে, সুদের হার কমালে অর্থনীতি চাঙা হবে এবং এটি তার পুনঃনির্বাচনের সম্ভাবনা বাড়াতে পারে।
ট্রাম্প ফেডারেল রিজার্ভের সংস্কার প্রকল্প নিয়েও ফেডের চেয়ারম্যানের সমালোচনা করেছেন। তিনি এবং তার সহযোগীরা এই প্রকল্পের উচ্চ ব্যয় নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন—যা ট্রাম্পের ফেড সদর দফতর পরিদর্শনের এক সপ্তাহ পরেই করা হয়েছে। ওই সফরে তিনি চলমান কাজ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন। তিনি আবারও উচ্চ সুদের হার নীতির বিরোধিতা করেছেন এবং বলেছেন, এতে জাতীয় ঋণের উপর সরকারের সুদ খরচ বেড়ে যায়। ট্রাম্প দাবি করেছেন, পাওয়েলের পদক্ষেপ দেশের জন্য বড় অর্থনৈতিক ক্ষতির কারণ হচ্ছে এবং সংস্কার প্রকল্পটিকে তিনি দুর্বলভাবে পরিচালিত হয়েছে বলে অভিহিত করেন।
এই মন্তব্যগুলো এসেছে এমন এক সময়, যখন বুধবার ফেডের কর্মকর্তারা সুদের হার অপরিবর্তিত রাখার সিদ্ধান্ত নেন, তবে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক পূর্বাভাস কিছুটা সংশোধন করে নিম্নমুখী করে —যা নীতিনির্ধারকদের কাছ থেকে আগামীতে সুদের হার কমানোর ইঙ্গিত দেয়।
বৃহস্পতিবার ট্রেজারি সেক্রেটারি স্কট বেসেন্ট জানান, ট্রাম্প বছরের শেষ নাগাদ পাওয়েলের বিকল্প ঘোষণা করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। তিনি বলেন, "আমরা বেশ শক্তিশালী প্রার্থীর তালিকা প্রস্তুত করছি। আমি আশা করি, বছরের শেষে আমরা তা ঘোষণা করতে পারব।" বেসেন্ট আরও জানান, চেয়ারম্যান পদে মেয়াদ শেষ হওয়ার পর পাওয়েল আরও দুই বছর বোর্ড অফ গভর্নর্সে থাকতে পারেন, তবে সাধারণত প্রাক্তন চেয়ারম্যানরা তা করেন না। ট্রেজারি সেক্রেটারি বুধবার ফেডের সিদ্ধান্তের সঙ্গে মতবিরোধ প্রকাশ করেন।
গত কয়েকদিনে, ট্রাম্প তার আক্রমণের ভাষ্য কিছুটা নমনীয় করেছিলেন, যখন তিনি বিরলভাবে একজন বর্তমান প্রেসিডেন্ট হিসেবে ফেড সদর দফতরে সংস্কার প্রকল্প পরিদর্শনে যান এবং চেয়ারম্যানের পাশে দাঁড়ান। যদিও ট্রাম্প দীর্ঘদিন ধরেই সুদের হার নীতি নিয়ে পাওয়েলকে আক্রমণ করে এসেছেন, তবে সংস্কার প্রকল্পটি এখন প্রেসিডেন্টের সহযোগীদের জন্য নতুন একটি চাপ প্রয়োগের উপায় হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। তবুও মনে হচ্ছে, বুধবার ট্রাম্প আরও 'ডভিশ বা নমনীয়' অবস্থানের প্রত্যাশা করেছিলেন—বিশেষ করে সেপ্টেম্বরের সুদের হার হ্রাসের ইঙ্গিতের আশা করেছিলেন। কিন্তু তা না হওয়ায় এই ভঙ্গুর সমঝোতা আবারও ভেঙে পড়ে।
বর্তমানে EUR/USD-এর টেকনিক্যাল প্রেক্ষাপট অনুযায়ী, ক্রেতাদের এখন এই পেয়ারের মূল্যকে 1.1460 লেভেলে পুনরুদ্ধারের দিকে মনোযোগ দিতে হবে। শুধুমাত্র মূল্য এই লেভেলের উপরে উঠে গেলে 1.1500 লেভেল টেস্ট করার সুযোগ তৈরি হবে। সেখান থেকে মূল্যের 1.1535 পর্যন্ত যাওয়ার সম্ভাবনা উন্মুক্ত হবে, যদিও বড় ট্রেডারদের সহায়তা ছাড়া এটি করা কঠিন হতে পারে। সর্বোচ্চ ঊর্ধ্বমুখী লক্ষ্যমাত্রা হল 1.1570-এর উচ্চতা। যদি এই পেয়ারের মূল্য হ্রাস পায়, তাহলে মূল্য 1.1410 লেভেলের কাছাকাছি থাকা অবস্থায় ক্রেতাদের উল্লেখযোগ্য সক্রিয়তার প্রত্যাশা করা হচ্ছে। যদি মূল্য ঐ লেভেলে থাকা অবস্থায় ক্রয়ের আগ্রহ না থাকে, তবে 1.1370-এর নিম্নমুখী লেভেলের পুনরায় টেস্টের জন্য অপেক্ষা করা ভালো, অথবা 1.1345 থেকে লং পজিশন বিবেচনা করা যেতে পারে।
GBP/USD-এর টেকনিক্যাল চিত্রের ক্ষেত্রে, পাউন্ডের ক্রেতাদের মূল্যের 1.3230-এর নিকটতম রেজিস্ট্যান্স ব্রেক করাতে হবে। কেবল তখনই তারা এই পেয়ারের মূল্যকে 1.3270-এর দিকে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করতে পারবে, যদিও এই লেভেল ব্রেক করাটা বেশ চ্যালেঞ্জিং হবে। সর্বোচ্চ ঊর্ধ্বমুখী লক্ষ্যমাত্রা হল 1.3310। যদি এই পেয়ারের দরপতন ঘটে, তাহলে বিক্রেতারা সম্ভবত মূল্যকে 1.3180 লেভেলে পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করবে। মূল্য এই রেঞ্জের নিচে সফলভাবে নেমে গেলে, তা ক্রেতাদের জন্য বড় আঘাত হবে এবং GBP/USD পেয়ারের মূল্য 1.3126-এর নিম্নমুখী লেভেলের দিকে চলে দিতে পারে, এবং দরপতনের মাত্রা আরও বেড়ে 1.3080 পর্যন্ত প্রসারিত হতে পারে।