যখন MACD সূচকটি শূন্যের উপরের দিকে উঠতে শুরু করেছিল ঠিক তখনই এই পেয়ারের মূল্য 1.3525 লেভেল টেস্ট করেছিল, যা পাউন্ড কেনার জন্য একটি সঠিক এন্ট্রি পয়েন্ট নিশ্চিত করেছিল। এর ফলে এই পেয়ারের মূল্য প্রায় 1.3582-এর লক্ষ্যমাত্রা পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে।
মার্কিন মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদনের ফলাফল আবারও ডলারের দরপতন ঘটিয়েছে এবং ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। মার্কিন ভোক্তা মূল্য সূচক মন্থরভাবে বৃদ্ধি পাওয়ার বিষয়টি বিনিয়োগকারীরা ইতিবাচকভাবে গ্রহণ করেছে, যা ফেডারেল রিজার্ভ কর্তৃক সুদের হার হ্রাসের সম্ভাবনাকে আরও বাড়িয়েছে। এর ফলে মার্কিন ডলার দুর্বল হয়েছে এবং পাউন্ড উল্লেখযোগ্য সহায়তা পেয়েছে।
আজ সকালে যুক্তরাজ্যে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। অর্থনীতিবিদ ও বিশ্লেষকরা বৈশ্বিক চাপের মাঝেও ব্রিটিশ অর্থনীতির স্থিতিশীলতা মূল্যায়নের জন্য এই প্রতিবেদনগুলোর ফলাফল নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করবেন। জিডিপি প্রতিবেদন সামগ্রিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতির একটি মূল সূচক হিসেবে বিবেচিত হয়, যা প্রবৃদ্ধি বা মন্থরতা মূল্যায়নের সুযোগ দেবে। বিশেষ নজর থাকবে পরিষেবা, শিল্প এবং নির্মাণ খাতভিত্তিক জিডিবি বিভাজনের ওপর। শিল্প উৎপাদনের পরিমাণের পরিবর্তন ব্রিটিশ শিল্পখাতের প্রতিযোগিতামূলক অবস্থান মূল্যায়নে গুরুত্বপূর্ণ। উৎপাদন বৃদ্ধি পেলে সেটি ব্রিটিশ পণ্যের বৈদিশিক চাহিদা বৃদ্ধি পাশাপাশি অভ্যন্তরীণভাবে উৎপাদন খাতে আধুনিকায়নে বিনিয়োগ বৃদ্ধির ইঙ্গিত দিতে পারে। অন্যদিকে, উৎপাদনের পতন হলে তা শ্রমিক সংকট, উচ্চ উৎপাদন খরচ বা রপ্তানি চাহিদা হ্রাসের মতো খাতভিত্তিক সংকটের ইঙ্গিত করতে পারে। সবশেষে, যুক্তরাজ্যের ট্রেড ব্যালেন্স সংক্রান্ত প্রতিবেদন রপ্তানি ও আমদানির মধ্যে ভারসাম্য মূল্যায়নে সহায়তা করবে, যা পাউন্ডের স্থিতিশীলতা এবং কারেন্ট অ্যাকাউন্টের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। বাণিজ্য ঘাটতি পাউন্ডের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে পারে, অপরদিকে উদ্বৃত্ত থাকলে তা সহায়তা দিতে পারে।
দৈনিক কৌশলের ক্ষেত্রে, আমি আজ মূলত পরিকল্পনা #1 এবং #2 বাস্তবায়নের দিকে বেশি মনোযোগ দেব।
পরিকল্পনা 1: আজ পাউন্ডের মূল্য 1.3624-এর (চার্টে গাঢ় সবুজ লাইন) লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 1.3568-এর (চার্টে সবুজ লাইন) এন্ট্রি পয়েন্টে পৌঁছাবে তখন আমি পাউন্ড কেনার পরিকল্পনা করছি। মূল্য প্রায় 1.3624-এর লেভেলের আশেপাশে পৌঁছালে, আমি লং পজিশন ক্লোজ করতে যাচ্ছি এবং বিপরীত দিকে শর্ট পজিশন ওপেন করতে যাচ্ছি, উল্লিখিত লেভেল থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপস মুভমেন্টের প্রত্যাশা করছি। আজ পাউন্ডের মূল্যের শক্তিশালী বৃদ্ধির সম্ভাবনা নেই। গুরুত্বপূর্ণ! এই পেয়ার কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং শূন্যের উপরে উঠতে শুরু করেছে।
পরিকল্পনা 2: MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.3548-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রেও আমি আজ ইউরো কিনতে যাচ্ছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নগামী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী করবে। 1.3568 এবং 1.3624-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করা যেতে পারে।
পরিকল্পনা 1: আজ পাউন্ডের মূল্য 1.3548-এর (চার্টে লাল লাইন) লেভেল ব্রেক করে নিম্নমুখী হওয়ার পর আমি পাউন্ড বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি, যা GBP/USD-এর দ্রুত দরপতনের দিকে নিয়ে যাবে। বিক্রেতাদের জন্য মূল লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.3508-এর লেভেল, যেখানে মূল্য পৌঁছালে আমি শর্ট পজিশন ক্লোজ করতে যাচ্ছি এবং অবিলম্বে বিপরীত দিকে লং পজিশন ওপেন করার পরিকল্পনা করছি, এই লেভেল থেকে বিপরীত দিকে 20-25 পিপস মুভমেন্ট হওয়ার আশা করছি। আজ যেকোনো সময় পাউন্ডের বিক্রেতারা মার্কেটে সক্রিয় হতে পারে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে। গুরুত্বপূর্ণ! বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের নিচে রয়েছে এবং শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে।
পরিকল্পনা 2: MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.3568-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি আজ পাউন্ড বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী দিকে নিয়ে যাবে। 1.3548 এবং 1.3508-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করা যেতে পারে।