যখন MACD সূচকটি শূন্যের অনেক নিচে অবস্থান করছিল তখন এই পেয়ারের মূল্য 1.1549 লেভেল টেস্ট করেছিল, যা এই পেয়ারের মূল্যের আরও নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনা সীমিত করে দেয়। এই কারণে আমি ইউরো বিক্রির সিদ্ধান্ত নিইনি। অল্প কিছুক্ষণ পর দ্বিতীয়বার 1.1549 লেভেল টেস্ট করা হয় এবং সেসময় MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে অবস্থান করছিল, যার ফলে পরিকল্পনা #2 অনুযায়ী বাই ট্রেড ওপেন করা হয়। ফলস্বরূপ, এই পেয়ারের মূল্য ১৫ পিপস পর্যন্ত বৃদ্ধি পায়।
গতকাল সারাদিন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে কোনো গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের প্রকাশিত না হওয়ায় ট্রেডাররা রাজনৈতিক পরিস্থিতির অগ্রগতির খবরের অপেক্ষা করেছে। দিনের মূল খবর ছিল মার্কিন সরকারের অচলাবস্থা নিরসনের পথে অগ্রগতি। সিনেট "শাটডাউন" বন্ধের উদ্দেশ্যে একটি বিল অনুমোদন করেছে। বিলটি এখন প্রতিনিধি পরিষদে ভোটের জন্য পাঠানো হয়েছে। প্রতিনিধি পরিষদে পাশ হওয়ার পর তা প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের স্বাক্ষরের জন্য প্রেরণ করা হবে। এই সংবাদের প্রতি ফাইন্যানশিয়াল মার্কেটে সংযত ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা গিয়েছে। দীর্ঘদিনের অস্থিরতা ও অনিশ্চয়তা নিরসনে ক্লান্ত মার্কেটের ট্রেডাররা এটিকে মার্কিন সরকারি কার্যক্রম স্বাভাবিক করার পথে প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচনা করেছে।
আজ সকালে ZEW ইনস্টিটিউট থেকে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক সূচক প্রকাশিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে জার্মানির ইকোনমিক সেন্টিমেন্ট ইনডেক্স, কারেন্ট সিচুয়েশন ইনডেক্স, ও সামগ্রিক ইউরোপীয় বিজনেস সেন্টিমেন্ট ইনডেক্স। এর মধ্যে জার্মানির ইকোনমিক সেন্টিমেন্ট ইনডেক্সকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়। এই সূচকের পতন ঘটলে তা ইউরোপের সবচেয়ে বড় অর্থনীতির ভবিষ্যত নিয়ে বিনিয়োগকারীদের উদ্বেগ বৃদ্ধির ইঙ্গিত দেবে—যা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য বিরোধ, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির মন্থরতার এবং অন্যান্য বহিরাগত কারণের সঙ্গে সম্পর্কিত হতে পারে। অন্যদিকে, সূচকটি বৃদ্ধি পেলে তা জার্মানির কোম্পানি ও বিনিয়োগকারীদের মধ্যে ইতিবাচক মনোভাব অটুট থাকার ইঙ্গিত দেবে।
কারেন্ট সিচুয়েশন ইনডেক্স ইউরোজোনের অর্থনীতির বর্তমান অবস্থা প্রতিফলিত করে, যা বর্তমানে বিদ্যমান চ্যালেঞ্জ সামলাতে এই অঞ্চলের সক্ষমতা মূল্যায়নে সহায়তা করবে। এই দুইটি সূচক—সেন্টিমেন্ট এবং বর্তমান পরিস্থিতি—এগুলর তুলনামূলক বিশ্লেষণ ইউরোজোনের অর্থনীতি সম্পর্কে আরও স্পষ্ট চিত্র উপস্থাপন করবে। উল্লেখযোগ্যভাবে প্রত্যাশা ও বাস্তব ফলাফলের মধ্যে কোনো বড় ধরনের ভিন্নতা দেখা দিলে এসব ফলাফল মার্কেটে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলতে পারে।
দৈনিক ট্রেডিং কৌশলের ক্ষেত্রে, আমি পরিকল্পনা #1 এবং পরিকল্পনা #2 বাস্তবায়নের ওপর বেশি নির্ভর করব।
পরিকল্পনা #1: আজ যখন ইউরোর মূল্য 1.1599-এর লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 1.1570-এর (চার্টে সবুজ লাইন দ্বারা চিহ্নিত) লেভেলে পৌঁছাবে, তখন আপনি ইউরোর লং পজিশন ওপেন করতে পারেন। মূল্য 1.1599-এর লেভেলে গেলে, আমি লং পজিশন ক্লোজ করার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে ইউরোর শর্ট পজিশন ওপেন করব। আজ আসন্ন প্রতিবেদনের ইতিবাচক ফলাফল প্রকাশিত হলে ইউরোর দর বৃদ্ধি পেতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ: এই পেয়ার কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং সেখান থেকে উপরের দিকে উঠতে শুরু করেছে।
পরিকল্পনা #2: আজ MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.1552-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি ইউরোর লং পজিশন ওপেন করার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী করবে। আমরা 1.1570 এবং 1.1599-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করতে পারি।
পরিকল্পনা #1: EUR/USD পেয়ারের মূল্য 1.1552-এর (চার্টে লাল লাইন) লেভেলে পৌঁছানোর পর আমি ইউরোর শর্ট পজিশন ওপেন করার করার পরিকল্পনা করছি। লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.1528-এর লেভেল যেখানে মূল্য পৌঁছালে আমি সেল পজিশন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 20-25 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে ইউরোর বাই পজিশন ওপেন করব। আজ এই পেয়ারের উপর উল্লেখযোগ্য চাপ সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা নেই। গুরুত্বপূর্ণ: বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের নিচে রয়েছে এবং শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে।
পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.1570-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রেও আমি আজ ইউরোর শর্ট পজিশন ওপেন করতে যাচ্ছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী করবে। আমরা 1.1552 এবং 1.1528-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করতে পারি।
