যখন MACD সূচকটি শূন্যের অনেক নিচে অবস্থান করছিল তখন এই পেয়ারের মূল্য 154.00 লেভেল টেস্ট করেছিল, যা এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করে দেয়। এই কারণেই আমি ডলার বিক্রির সিদ্ধান্ত নিইনি।
মার্কিন সিনেট "শাটডাউন" বন্ধের লক্ষ্যে একটি বিল অনুমোদন করার পর ডলার ইয়েনের বিপরীতে কিছুটা শক্তিশালী হয়। যদিও এই প্রতিক্রিয়াটি তুলনামূলকভাবে মাঝারি ছিল, এটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা নিয়ে মার্কেটের ট্রেডাররা সামগ্রিক ক্লান্তি প্রতিফলিত করে। কয়েক সপ্তাহব্যাপী চলা "শাটডাউন" এবং অর্থনীতি ও বিনিয়োগকারীদের মাঝে এর নেতিবাচক প্রভাব মার্কিন মুদ্রার প্রতি আস্থা ক্ষয় করেছে। তাই সংকট নিরসনের সম্ভাব্য খবর, যদিও তা প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে, মার্কেটে ইতিবাচকভাবে গৃহীত হয়েছে।
তবে মার্কেটে এখনও সংযত আশাবাদী মনোভাব বিরাজ করছে। বিনিয়োগকারীরা ভালো করেই জানেন, সিনেটের অনুমোদন কেবল প্রথম পদক্ষেপ মাত্র। প্রতিনিধি পরিষদে ভোট—বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক মেরুকরণ বিবেচনায়—আরও একটি গুরুতর চ্যালেঞ্জ। যদি মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদ বিলটিকে সমর্থন না করে, তাহলে ডলার আবারও চাপে পড়তে পারে। তাছাড়া, ভোট পাস হওয়ার পরেও "শাটডাউন"-এর প্রভাব ইতোমধ্যেই অর্থনৈতিক সূচকের ওপর প্রতিফলিত হচ্ছে। প্রতিবেদন প্রকাশে বিলম্ব, ফেডারেল সংস্থার কার্যক্রমে বিঘ্ন এবং ভোক্তাদের আস্থায় সম্ভাব্য ধাক্কা — এসবই প্রথম প্রান্তিকে পুরো অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
এজন্য, যদিও ডলারের দর ইয়েনের বিপরীতে ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে, এই বৃদ্ধিকে দীর্ঘমেয়াদী ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার সূচনা হিসেবে না দেখে শুধুমাত্র সংবাদের প্রতি স্বল্পমেয়াদী প্রতিক্রিয়া হিসেবেই বিবেচনা করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। সামনের দিকে ডলারের মূল্যের মুভমেন্ট শুধু রাজনৈতিক পরিস্থিতির ওপর নয়, বরং সামষ্টিক অর্থনৈতিক পরিসংখ্যান এবং ফেডারেল রিজার্ভের সুদের হারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ীও নির্ধারিত হবে।
এছাড়াও, জাপানের অর্থমন্ত্রণালয় ধারাবাহিকভাবে মন্তব্য করে আসছে যে তাঁরা ইয়েনের বর্তমান দর নিয়ে উদ্বিগ্ন—এটি ভবিষ্যতে নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে হস্তক্ষেপের পথ প্রশস্ত করতে পারে। এর ফলে ১ ডলারে ১৫৪ ইয়েনের লেভেলে USD/JPY পেয়ার ক্রয়ের প্রবণতা হ্রাস পেতে পারে।
দৈনিক ট্রেডিং কৌশলের ক্ষেত্রে, আমি পরিকল্পনা #1 এবং পরিকল্পনা #2 বাস্তবায়নের ওপর বেশি নির্ভর করব।
পরিকল্পনা #1: আজ এই পেয়ারের মূল্য 154.89-এর (চার্টে গাঢ় সবুজ লাইন) লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 154.39-এর (চার্টে সবুজ লাইন) এন্ট্রি পয়েন্টে পৌঁছালে আমি USD/JPY পেয়ার কেনার পরিকল্পনা করছি। এই পেয়ারের মূল্য প্রায় 154.89-এর লেভেলে পৌঁছালে, আমি লং পজিশন ক্লোজ করব এবং বিপরীত দিকে শর্ট পজিশন ওপেন করব (এই লেভেল থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপস মুভমেন্টের প্রত্যাশা করছি)। USD/JPY পেয়ারের কারেকশন এবং উল্লেখযোগ্য দরপতনের সময় এই পেয়ার ক্রয় করা উচিত হবে। গুরুত্বপূর্ণ! এই পেয়ার কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং শূন্যের উপরে উঠতে শুরু করেছে।
পরিকল্পনা #2: আজ MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 154.06-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি USD/JPY পেয়ার কেনার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী দিকে নিয়ে যাবে। আমরা 154.39 এবং 154.89-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করতে পারি।
পরিকল্পনা #1: আজ এই পেয়ারের মূল্য 154.06-এর (চার্টে হালকা লাল লাইন) লেভেল অতিক্রম করার পর USD/JPY পেয়ার বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি, যা এই পেয়ারের দ্রুত দরপতনের দিকে নিয়ে যাবে। বিক্রেতাদের জন্য মূল লক্ষ্যমাত্রা হবে 153.54-এর লেভেল (গাঢ় লাল লাইন), যেখানে আমি শর্ট পজিশন ক্লোজ করতে যাচ্ছি এবং অবিলম্বে বিপরীত দিকে লং পজিশন ওপেন করতে যাচ্ছি, সেই লেভেল থেকে বিপরীত দিকে 20-25 পিপস রিবাউন্ডের আশা করছি। যতটা সম্ভব উচ্চ লেভেলে থাকা অবস্থায় এই পেয়ার বিক্রি করা উচিত হবে। গুরুত্বপূর্ণ! এই পেয়ার বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের নিচে রয়েছে এবং সবেমাত্র শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে।
পরিকল্পনা #2: আজ MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময় 154.39-এর লেভেলে পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি USD/JPY পেয়ার বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী করবে। আমরা 154.06 এবং 153.54-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করতে পারি।
